প্রকাশিত:
২ ঘন্টা আগে

একটি সাইবার সুরক্ষা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নতুন প্রতারণায় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি হ্যাক হয়ে গেলেও ব্যবহারকারী তা বুঝতেই পারবেন না। ফোন স্বাভাবিকভাবেই চলবে, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রতারণার শুরু হয় একটি মেসেজ দিয়ে, যা আসে পরিচিত বা বিশ্বাসযোগ্য কোনও ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে। সাধারণত বার্তাটি হয়—
“Hey, I just found your photo” (আমি তোমার একটা ছবি পেয়েছি)।
মেসেজের সঙ্গে থাকে একটি লিঙ্ক, যার প্রিভিউ দেখে ফেসবুকের মতোই মনে হয়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই খুলে যায় একটি ভুয়ো ওয়েবপেজ, যা দেখতে অবিকল ফেসবুক ফটো ভিউয়ারের মতো। সেখানে কনটেন্ট দেখার জন্য ‘Verify’ বোতামে ক্লিক করতে বলা হয়।
ভ্যারিফাই করতে গেলে ইউজারের ফোন নম্বর চাওয়া হয়। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ একটি সংখ্যাভিত্তিক পেয়ারিং কোড পাঠায়, যা ওয়েবপেজে লিখতে বলা হয়। সবকিছুই সাধারণ সিকিউরিটি চেকের মতো মনে হলেও, এই কোড লিখে দিলেই বিপদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
এর ফলে হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের মাধ্যমে ইউজারের সমস্ত কথোপকথন পড়তে পারে, নতুন মেসেজ রিসিভ করতে পারে, মিডিয়া ডাউনলোড করতে পারে এবং ইউজারের পরিচিতদের মেসেজ পাঠাতেও সক্ষম হয়। অথচ ব্যবহারকারী কোনও অস্বাভাবিকতা বুঝতেই পারেন না।
এখনও পর্যন্ত এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা চেক প্রজাতন্ত্রে ধরা পড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, খুব শীঘ্রই বিশ্বজুড়ে এই নতুন হ্যাকিং কৌশল ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি সতর্কতার কথা জানাচ্ছেন—
সামান্য অসতর্কতাই বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।